বাংলাদেশের আইন

বাংলাদেশের আইন (Law of Bangladesh)

Law of Bangladesh (বাংলাদেশের আইন) সকল আইন ব্যবস্থার একটি প্রাথমিক পূর্বধারণা হচ্ছে নাগরিকগণের আইনে অভিগম্যতা সহজসাধ্য থাকা এবং যাতে আইনগুলো সহজলভ্য হয় এমন অবস্থা সৃষ্টি করা।

প্রণীত যে কোন আইন সাধারণ মানুষকে অবহিত করার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলাদেশ গেজেটে উহার প্রকাশনা। এছাড়াও The Bangladesh Laws (Revision and Declaration) Act, 1973 (Act No. VIII of 1973)  এর ধারা ৬ ও ৬এ অনুসারে সরকার কর্তৃক বাংলাদেশের আইনসমূহ কোড আকারে প্রকাশ করার বাধ্যগত নির্দেশনা হচ্ছে- “বাংলাদেশে প্রচলিত সকল আইন, অধ্যাদেশ এবং রাষ্ট্রপতির আদেশ কালানুক্রমিকভাবে বাংলাদেশ কোড শিরোনাম ও আকারে প্রকাশ করিতে হইবে।” এবং ১৯৭৭ সন হতে ১৯৮৮ সনের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কোড আকারে ১৮৩৬ সন হতে ১৯৩৮ সনের আইনসমূহ ১১টি ভলিউমে প্রথম প্রকাশিত হয়।

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১

বাংলাদেশের অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১ অনুসারে ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ পর্যন্ত যেসব পাকিস্তানি নাগরিক পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন এবং তাঁদের স্থাবর সম্পত্তি যা পাকিস্তান আমলে শত্রু সম্পত্তি ও বাংলাদেশ আমলে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ নামে অভিহিত হয়েছিল, তা ফেরৎ পেতে পারেন। এই আইনের ২০০১ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার এবং ২০১২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধিত হয়। সংশোধিত আইনের ৯ক ধারা অনুযায়ী সরকারী গেজেটে মৌজাভিত্তিক জেলাওয়ারি তালিকা প্রকাশের পর কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেকে অর্পিত সম্পত্তির দাবিদার মনে করলে, তার দাবির সমর্থনে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ সরকারি গেজেট প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি অথবা ট্রাইব্যুনালে উক্ত সম্পত্তি অবমুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অর্পিত সম্পত্তি কী


১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর ডিফেন্স অব পাকিস্তান রুলস ১৯৬৫ জারি করা হয়। এই বিধিমালা অনুসারে ওই ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ পর্যন্ত যেসব নাগরিক পাকিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে যায়, তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর, ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে ‘শত্রু সম্পত্তির’ নাম পরিবর্তন করে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ রাখা হয়। এসব অর্পিত সম্পত্তি মূল মালিক বা তদীয় বৈধ উত্তরাধিকারীর কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১’ প্রণয়ন করা হয়। তবে তা বাস্তবায়নের জণ্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা জারি না করায় আইন অনুসারে দীর্ঘকাল কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি।

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন (সংশোধন) আইন ২০১১


১১ ডিসেম্বর ২০১১ ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ (সংশোধন) আইন ২০১১ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়।

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন (সংশোধন) ২০১২

অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা ২০১২


২ মে ২০১২ এস. আর. ও. নম্বর ১০৭-এর মাধ্যমে সরকার কর্তৃক অর্পিত সম্পত্তি অবমুক্তি বিধিমালা জা রি করা হয়। এই বিধিমালা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজেকে অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে গেজেটে প্রকাশিত জমির প্রকৃত দাবিদার মনে করলে, তার দাবির সমর্থনে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ সরকারি গেজেট প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা কমিটির সভাপতি বরাবরে আবেদন করতে পারেন।

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন (২য় সংশোধন) ২০১৩

গুরুত্বপূর্ণ বিধানসমূহ


তফসিল-ক বর্ণিত অর্পিত সম্পত্তি : সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অর্পিত সম্পত্তি।
তফসিল-খ বর্ণিত অর্পিত সম্পত্তি : ব্যক্তি মালিকানাধীন অর্পিত সম্পত্তি।
সরকারী গেজেটে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা প্রকাশের ৩০০ দিনের মধ্যে তা না লাভের জন্য যদি কেউ আবেদন না করে তবে তা দখলে নিয়ে সরকার দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে পারবে।

বাংলাদেশের আইন অর্পিত সম্পত্তি ফেরৎ লাভের শর্তাবলী


অর্পিত সম্পত্তি ফিরে হলে দাবিদারকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে।

ইংরেজিতে প্রণীত আইনসমূহ:- ভলিউম ১ হতে ভলিউম ২৬ (১৮৩৬ সন হতে ১৯৮৬ সন পর্যন্ত)

বাংলায় প্রণীত আইনসমূহ:- ভলিউম ২৭ হতে ভলিউম ৩৮

সংশ্লিষ্ট সংযোগ

বাংলাদেশ সরকার এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ

সংসদ সচিবালয়

Law of Bangladesh

Copyright © 2010, Legislative and Parliamentary Affairs Division

Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs