বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ ( ২০১০ সনের ৪০ নং আইন )

বাংলাদেশের সমগ্র ভূখণ্ড, নির্ধারিত সমুদ্রসীমা ও ইহার অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রাকৃতিক গ্যাস ও উহার সহজাত তরল হাইড্রোকার্বন (associated liquid hydrocarbon) সঞ্চালন,বিতরণ, বিপণন, সরবরাহ ও মজুদের উদ্দেশ্যে এবং উহাদের যথার্থ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে বিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রণীত আইন।
যেহেতু বাংলাদেশের সমগ্র ভূখন্ড, নির্ধারিত সমুদ্রসীমা ও ইহার অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাস ও উহার সহজাত তরল হাইড্রোকার্বন (associated liquid hydrocarbon) এর সঞ্চালন, বিতরণ, বিপণন, সরবরাহ ও মজুদের উদ্দেশ্যে এবং উহাদের যথার্থ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং

যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাস ও উহার সহজাত তরল হাইড্রোকার্বন এর বিক্রয় এবং হিসাব বহির্ভুত গ্যাসের (unaccounted for gas) উপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ এবং সময়মত গ্যাস বিক্রয়লব্দ রাজস্ব আদায় নিশ্চিতকরণ এবং বেসরকারি খাত ও ব্যক্তিগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :

অধ্যায়-১

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ গ্যাস আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) “অধিকারভুক্ত এলাকা” অর্থ গ্যাস বিতরণ ও বিপণনের জন্য লাইসেন্সধারীকে অর্পিত ভৌগোলিক এলাকা;
(২) “এনজিএল” অর্থ গ্যাসের অংশবিশেষ, যাহা ভূ-উপরিতলে পৃথকীকরণ যন্ত্র (সেপারেটরস) দ্বারা, গ্যাস ক্ষেত্রের বলবৎ সুবিধাদি দ্বারা অথবা গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট দ্বারা তরলীকৃত অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়;
(৩) “এলএনজি” অর্থ পরিবহন এবং মজুদকরণের সুবিধার্থে (Cryogenic) পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের তরল অবস্থা;
(৪) “এসএনজি” অর্থ নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে বাতাসের সহিত এলপিজি মিশ্রিত করিয়া প্রস্তুতকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের এক প্রকার বিকল্প;
(৫) “কনডেনসেট” অর্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সহজাত তরল হাইড্রোকার্বন;
(৬) “কমিশন” অর্থ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন;
(৭) “কমিশন আইন” অর্থ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন);
(৮) “করপোরেশন” অর্থ-
(ক) Bangladesh Oil, Gas and Mineral Corporation Ordinance, 1985 (Ordinance No. XXI of 1985) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা); এবং
(খ) Bangladesh Petroleum Corporation Ordinance, 1976(Ordinance No. LXXXVIII of 1976)এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি);
(৯) “কোম্পানী” অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন গঠিত এবং নিবন্ধিত কোন কোম্পানী;
(১০) “গ্যাস” অর্থ প্রাকৃতিক গ্যাস (এনজি), প্রাকৃতিক তরল গ্যাস (এনজিএল),তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি), কৃত্রিম প্রাকৃতিক গ্যাস (এসএনজি), তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), কোল বেড মিথেন (সিবিএম), ভূ-গর্ভস্থ কয়লা গ্যাসে রূপান্তর (ইউসিজি), অথবা স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসীয় উপাদানে রূপান্তরিত হয় এমন প্রাকৃতিক হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ;
(১১) “গ্যাস অপারেটর” অর্থ কমিশন আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে অথবা পরে গ্যাস সংক্রান্ত ব্যবসায় নিয়োজিত যে কোন সরকারী এজেন্সী অথবা কোম্পানী অথবা বেসরকারী এজেন্সী অথবা কোম্পানী অথবা ব্যক্তি;
(১২) “গ্যাস কার্যক্রম পরিচালন” অর্থ কমিশন আইনের অধীন গ্যাসের সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিতরণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত যে কোন কর্মকান্ড

(১৩) “গ্যাস পরিদর্শক” অর্থ গ্যাস বিতরণ ও বিপণনের লক্ষ্যে পরিদর্শনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি;
(১৪) “গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী” অর্থ গ্যাস বিতরণ বা সরবরাহের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি;
(১৫) “গ্যাস শিল্প” অর্থ গ্যাস সম্পর্কিত কর্মকান্ড, যাহাতে গ্যাসের সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিতরণ, সরবরাহ ও গ্রাহকের নিকট গ্যাস বিপণন কর্মকান্ড অন্তর্ভুক্ত
(১৬) “গ্যাস সরবরাহ” অর্থ পাইপলাইন, সিলিন্ডার, যানবাহন, বার্জ, জলযান আধার (ভেসেল) অথবা অন্য কোন মাধ্যম দ্বারা গ্রাহকের জন্য গ্যাস বিতরণ বা খুচরা সরবরাহ;
(১৭) “গ্যাস সরবরাহ চুক্তি” অর্থ গ্যাস বিতরণকারী কিংবা সরবরাহকারী কিংবা বিপণনকারী কিংবা বিক্রেতা এবং ক্রেতা কিংবা গ্রাহকের দ্বারা ও তাহাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি;
(১৮) “গ্যাস ক্ষেত্র” অর্থ কোন নির্ধারিত ভূতাত্ত্বিক গঠন অথবা বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রাকৃতিক গ্যাসাধার অথবা প্রাকৃতিক গ্যাসাধারসমূহের সমষ্টি;
(১৯) “গ্রাহক” অর্থ গ্যাস বিতরণকারী অথবা সরবরাহকারী কোন ব্যক্তির সহিত চুক্তিতে বর্ণিত শর্তসাপেক্ষে গ্যাস ক্রয় করিবার উদ্দেশ্যে কোন চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান অথবা চুক্তি সম্পাদনকারীর ভাড়াটিয়া হিসাবে গ্যাস ব্যবহারকারী অথবা অন্য কোনভাবে প্রকৃত গ্যাস ব্যবহারকারীও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২০) “তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)” অর্থ আবদ্ধ পাত্রে চাপের সাহায্যে তরলাকারে সংরক্ষিত যাহা প্রোপেন অথবা বিউটেনের প্রাধান্যসম্পন্ন এবং উহাদের যে কোন একটি অথবা উভয়ের মিশ্রণ;
(২১) “ধ্বংসাত্মক অথবা নাশকতামূলক কার্যকলাপ” অর্থ ইচ্ছাকৃত যে কোনভাবে গ্যাস শিল্পের ও সম্পদের ক্ষতিসাধন অথবা স্বাভাবিক গ্যাস পরিচালন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা অথবা এইরূপ যে কোন প্রচেষ্টা;
(২২) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত;
(২৩) “পাইপলাইন” অর্থ গ্যাস সঞ্চালন, বিতরণ, সরবরাহ, বিপণনের লক্ষ্যে অনুমোদিত পাইপলাইন এবং কমপ্রেসার, যোগাযোগ যন্ত্রপাতি, মিটার, চাপ নিয়ন্ত্রক, পাম্প, ভালভ এবং উহা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রাংশও ইহার অন্তর্ভুক্ত;
(২৪) “প্রাকৃতিক গ্যাস” অর্থ প্রাকৃতিকভাবে গ্যাসীয় অবস্থায় প্রাপ্ত হাইড্রোকার্বন, হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ অথবা তরল, বাষ্পীভূত অথবা সংযুক্ত অবস্থায় প্রাপ্ত গ্যাস, যাহার সহিত নিম্নবর্ণিতসহ অন্যান্য অজৈব এক বা একাধিক পদার্থ মিশ্রিত থাকিতে পারে অথবা নাও থাকিতে পারে, যথা :-
(ক) হাইড্রোজেন সালফাইড;
(খ) নাইট্রোজেন;
(গ) হিলিয়াম;
(ঘ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড;
(২৫) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
(২৬) “ব্যক্তি” অর্থ ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি ও সংবিধিবদ্ধ অথবা অন্যবিধ অংশীদারী কারবারী সংস্থা অথবা উহাদের প্রতিনিধি এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২৭) “বিল” অর্থ বিক্রয় মূল্য এবং চার্জসহ বিক্রিত গ্যাসের পরিমাণ, সেবা অথবা কার্যসম্পাদনের বিনিময়ে ধার্য টাকার নিমিত্ত বিবরণ;
(২৮) “মজুদকরণ (Storage)” অর্থ সুষ্ঠুভাবে ও নিরাপদে গ্যাস বিতরণের উদ্দেশ্যে যথোপযুক্ত অবস্থায় গ্যাস পুঞ্জিভূতকরণ বা সঞ্চয়করণ এবং ধারণকরণ;
(২৯) “মিটারধারী” অর্থ এইরূপ গ্রাহক অথবা গ্রাহক শ্রেণী যাহার গ্যাস সরবরাহ মিটারের মাধ্যমে নির্ণীত হয় এবং তদনুযায়ী বিল প্রদেয় হয়;
(৩০) “লাইসেন্স” অর্থ কমিশন আইনের অধীন এবং এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত কোন লাইসেন্স;
(৩১) “লাইসেন্সী” অর্থ গ্যাস ও ইহার সহযোগী তরল হাইড্রোকার্বন (associated liquid hydrocarbon) এর সঞ্চালন, বিপণন ও বিতরণ, মজুদকরণ এবং সরবরাহের লক্ষ্যে কমিশন আইন অথবা এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান;
(৩২) “সঞ্চালন” অর্থ উচ্চ-চাপবিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে নির্ধারিত চাপে অথবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত উচ্চ চাপে এক স্থান হইতে অন্য স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাস স্থানান্তর;
(৩৩) “সিএনজি” অর্থ নির্দিষ্ট চাপ ও তাপমাত্রায় সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস;
(৩৪) “হুইলিং চার্জ” অর্থ সঞ্চালন ব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য বিধিবদ্ধ চার্জ;
(৩৫) “হিসাব-বহির্ভুত গ্যাস (unaccounted for gas-UFG)” অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন পাইপলাইন সিস্টেমে ধারণকৃত গ্যাসের পরিমাণের উপর গ্রহণযোগ্য মাত্রার পার্থক্য অথবা পরিবর্তন ব্যতীত এবং মিটারবিহীন গ্রাহকদের ব্যবহৃত চুলা বা সরঞ্জাম ফ্লাটরেইট অনুযায়ী নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার ব্যতীত উক্ত পাইপলাইন সিস্টেমে মিটারে রিডিংভুক্ত হইয়া আগত ও মিটারে রিডিংভুক্ত হইয়া বহির্গত গ্যাসের মধ্যে যে পরিমাণগত পার্থক্য অথবা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
আইনের প্রাধান্য
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে :
তবে বাংলাদেশ এনার্জী রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন) এর বিধানাবলী এই আইনের ক্ষেত্রে, যতটুকু প্রয়োজন, প্রযোজ্য হইবে।

অধ্যায়-২

ব্যবসা পরিচালনা, নির্মাণ ও স্থাপন

ব্যবসা পরিচালনা, ইত্যাদি
৪। কমিশন আইনের ধারা ২৭ এর বিধান মোতাবেক লাইসেন্স দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিম্নবর্ণিত ব্যবসা ও তদসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবে, যথা:-

(ক) গ্যাস সঞ্চালন, বিপণন ও বিতরণ, সরবরাহ, মজুদকরণ (Storage) এবং বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকের নিকট গ্যাস এবং উহার প্রক্রিয়াজাত পণ্য অথবা সহজাত দ্রব্যাদি পরিবহণ, বিক্রয়, এবং অন্যান্য যে কোন অনুমোদিত পন্থায় হস্তান্তর;এবং
(খ) গ্যাস সঞ্চালন, বিপণন ও বিতরণ, সরবরাহ ও মজুদকরণ (Storage) এর সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন সমী্ক্ষা, পরী্ক্ষা অথবা গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণ এবং উক্ত কর্মকান্ডের সম্পূরক, প্রাসঙ্গিক অথবা ফলস্বরূপ অন্য যে কোন কর্মকান্ড।
পাইপলাইন নির্মাণ ও স্থাপন
৫। (১) কমিশন কর্তৃক লাইসেন্স দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি গ্যাস সঞ্চালন, বিতরণ, সরবরাহ ও মজুদকরণের নিমিত্ত পাইপলাইন নির্মাণ অথবা স্থাপন করিতে পারিবে এবং প্রত্যেক লাইসেন্সী উহার অধিকারভুক্ত এলাকার নিজস্ব শ্রেণীর বিদ্যমান পাইপ লাইনের কর্তৃত্বসম্পন্ন বলিয়া গণ্য হইবে।

(২) পাইপলাইন নির্মাণ বা স্থাপনের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করিতে হইবে, যথাঃ-
(ক) বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা মূল্যায়ন;
(খ) প্রস্তাবিত পাইপলাইন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা;
(গ) পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ;
(ঘ) প্রস্তাবিত পাইপলাইন হইতে উক্ত গ্রাহক অথবা গ্রাহকদের অবস্থান;
(ঙ) পাইপলাইন নির্মাণের বাস্তবায়ন সময়সূচী;
(চ) চূড়ান্ত ব্যবহারকারী কিভাবে গ্যাস নেটওয়ার্কের আওতায় আসিবে উহার পরিকল্পনা নক্‌সা;
(ছ) গ্যাস সংযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে আর্থিক সংশ্লেষ;
(জ) জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পুনর্বাসন খরচ, পরিবেশগত দিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াদিসহ বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ;
(ঝ) প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও কারিগরী দক্ষতা ;
(ঞ) প্রকল্পের সর্বমোট ব্যয় এবং অর্থায়ন উৎসের বিস্তারিত বিবরণ ;
(ট) ঋণ পরিশোধের তফসিল ; এবং
(ঠ) আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়াবলী।
(৩) পাইপ লাইন নির্মাণ, স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন এবং উক্ত আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালা অনুসরণ করা হইবে।

অধ্যায়-৩

গ্যাস বিতরণ

গ্রাহক শ্রেণী
৬। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে গ্যাস ব্যবহারের প্রকৃতি অনুযায়ী গ্যাস ব্যবহারকারীগণের শ্রেণীবিন্যাস হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
(ক) গৃহস্থালী ;

(খ) বাণিজ্যিক ;

(গ) শিল্প ;

(ঘ) মৌসুমী ;

(ঙ) সিএনজি ;

(চ) চা-বাগান ;

(ছ) বিদ্যুৎ;

(জ) সার ; এবং

(ঝ) ক্যাপটিভ পাওয়ার।

(২) এই আইনের উদ্দেশ্যের সাথে সংগতি রাখিয়া সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত গ্রাহক শ্রেণী পুনঃবিন্যাস এবং নূতন গ্রাহক শ্রেণী প্রবর্তন ও পুরাতন গ্রাহক শ্রেণী বিলুপ্ত করিতে পারিবে।

গ্যাস বিতরণ
৭। (১) লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিতরণ ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবে।

(২) গ্যাস বিতরণকারী লাইসেন্সীর দায়িত্ব হইবে, নিম্নরূপ, যথা :-

(ক) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে গ্যাসের মান, চাপ, পরিবেশ, নিরাপত্তা বজায় রাখা;
(খ) একই শ্রেণীর গ্রাহকদের মধ্যে বৈষম্যহীনতার নীতি অনুসরণ ;
(গ) গ্যাসের পরিমাণ পরিমাপনের জন্য মিটার স্থাপন ;

(ঘ) বিতরণ পাইপলাইন এবং তৎসহ রেগুলেটিং ও মিটারিং স্টেশনের (আরএমএস) যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত নিশ্চিতকরণ ; এবং
(ঙ) মূল পাইপলাইন হইতে গ্রাহককে সংযোগ প্রদানের জন্য বিতরণ পাইপলাইন স্থাপন এবং বিদ্যমান বিতরণ পাইপলাইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি।

(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহ সীমিত অথবা স্থগিত করিবার অথবা গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহারের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করিবার অথবা গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিবার ক্ষমতা লাইসেন্সীর থাকিবে, যদি-

(ক) সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের জীবন এবং সম্পদ বিপদাপন্ন হয় ;
(খ) গ্যাস নেটওয়ার্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালন ত্রুটি দেখা দেয়;

(গ) জাতীয় পর্যায়ে গ্যাসের সংকট দেখা দেয় ;
(ঘ) বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করা হয় ;
(ঙ) গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার ঘটে ; অথবা
(চ) গ্যাস মিটারে অবৈধ হস্তক্ষেপ অথবা বাইপাস লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার করা হয়;
(ছ) গ্যাস বিতরণে ব্যবহারকারীগণের মধ্যে অগ্রাধিকার নির্ধারণের প্রয়োজন হইলে;
(জ) সরকার/কমিশন/কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত দক্ষতার (efficiency) চাইতে কম দক্ষতায় গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

অধ্যায়-৪

সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি), তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)

সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপন, এলপিজি ও এলএনজি এর ব্যবসা পরিচালনা, ইত্যাদি
৮। (১) এই আইনের অধীনে কোন ব্যক্তি নিম্নবর্ণিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন অথবা যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তরকরণ কারখানা, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এর ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনা করিতে পারিবে, যথাঃ-

(ক) কমিশনের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ; এবং
(খ) প্রয়োজনে প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী অন্য কোন সংস্থার লাইসেন্স বা অনুমোদন গ্রহণ।

(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সিএনজি, এলপিজি ও এলএনজি সরবরাহ সীমিত, স্থগিত কিংবা সীমাবদ্ধতা আরোপ করিবার ক্ষমতা কমিশনের থাকিবে, যদি-

(ক) সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের জীবন ও সম্পদ বিপদাপন্ন হয়;
(খ) অননুমোদিতভাবে সিএনজি এর ব্যবহার প্রমাণিত হয়।

(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সিএনজি সরবরাহ সীমিত, স্থগিত কিংবা সীমাবদ্ধতা আরোপ করিবার ক্ষমতা গ্যাস বিতরণকারীর থাকিবে, যদি-

(ক) গ্যাস নেটওয়ার্কে পরিচালন বিপত্তি ঘটে;

(খ) জাতীয় পর্যায়ে গ্যাসের স্বল্পতা দেখা দেয়।

অধ্যায়-৫

সরবরাহ এবং মজুদকরণ (Supply and storage)

গ্যাস সরবরাহ ও মজুদকরণ সংক্রান্ত বিধান
৯। লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিম্নবর্ণিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে গ্যাসের সরবরাহ ও মজুদকরণ (Supply and Storage) ব্যবসা শুরু এবং পরিচালনা করিতে পারিবে, যথাঃ-

(ক) কোন গ্যাস ফিল্ড হইতে প্রাপ্ত গ্যাস সরবরাহ এবং মজুদকরণ শুরু করিবার পূর্বে, সরবরাহ ও মজুদকরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উক্তরূপ গ্যাস মজুদকরণ ও সরবরাহ, ব্যয় এবং সঞ্চালন কোম্পানী অথবা বিতরণ কোম্পানীর নিকট জিম্মাদারী হস্তান্তর সংক্রান্ত সকল উপাত্ত কমিশনের নিকট দাখিল করিতে হইবে;
(খ) কমিশন উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) সমূহের অধীনে গ্যাস সরবরাহ ও মজুদকরণের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিশন আইন এর বিধানাবলী অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ ও মজুদকরণের মূল্য নির্ধারণ করিবে।

ব্যাখা : এই ধারায় উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) বলিতে গ্যাস ও কনডেনসেট উৎপাদন চুক্তি বা গ্যাস সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সম্পাদিত যে কোন চুক্তিকে বুঝাইবে।

অধ্যায়-৬

অপরাধ ও দণ্ড , ইত্যাদি

কতিপয় অপরাধের দণ্ড
১০।(১) কোন গৃহস্থালী গ্রাহক অথবা বাণিজ্যিক গ্রাহক অথবা শিল্প, মৌসুমী বা ক্যাপটিভ পাওয়ার বা সিএনজি স্টেশন বা চা বাগান শ্রেণীভুক্ত গ্রাহক অথবা বিদ্যুৎ ও সার শ্রেণীভুক্ত গ্রাহকের নিম্নবর্ণিত যে কোন কাজ হইবে একটি অপরাধ, যথাঃ-

(ক) মিটারকে পাশ কাটাইয়া সরবরাহ লাইন ও অভ্যন্তরীণ লাইনের মধ্যে সরাসরি বা প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন করিয়া গ্যাস ব্যবহার করা;
(খ) মিটারে অবৈধ হস্তক্ষেপ করিয়া উহার ইনডেক্স, সীল, রোটর বা ফ্যান ভাঙ্গিয়া, অথবা উহার ডায়াফ্রাম বা ইনডেক্স ছিদ্র করিয়া, অথবা বিপরীতমুখী মিটার স্থাপন করিয়া, অথবা মিটারের যান্ত্রিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করিয়া গ্যাসের প্রকৃত ব্যবহার হইতে কম প্রদর্শন করা;
(গ) সরবরাহ লাইন হইতে অবৈধ সংযোগ স্থাপন করিয়া গ্যাস ব্যবহার করা;
(ঘ) গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোন শর্ত ভঙ্গের কারণে গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্নকরণের পর অননুমোদিত বা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা;
(ঙ) গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থাপনকৃত রেগুলেটর অননুমোদিতভাবে বা অবৈধভাবে পুনঃস্থাপন (re-set) করিয়া নির্ধারিত চাপের অধিক চাপে গ্যাস ব্যবহার করা;
(চ) অনুমোদিত সংখ্যার অতিরিক্ত, বা অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন, গ্যাস সরঞ্জাম স্থাপনপূর্বক গ্যাস ব্যবহার করা;
(ছ) গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের পরিত্যক্ত রাইজার হইতে অননুমোদিত বা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করিয়া গ্যাস ব্যবহার করা; এবং
(জ) দফা (ক) হইতে (ছ) এ বর্ণিত পন্থা ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় অননুমোদিত বা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা।

(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন অপরাধের দায়ে-

(ক) কোন গৃহস্থালী গ্রাহক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদন্ডে বা
অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে উক্ত ব্যক্তি অন্যূন ৩ (তিন) মাস এবং অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন;
(খ) কোন বাণিজ্যিক গ্রাহক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে বা

অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যুন ৬ (ছয়) মাস এবং অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ৪০ (চল্লিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন;
(গ) কোন শিল্প, মৌসুমী বা ক্যাপটিভ পাওয়ার বা সিএনজি স্টেশন বা চা বাগান শ্রেণীভুক্ত গ্রাহক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ্য টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ্য টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন; এবং

(ঘ) কোন বিদ্যুৎ ও সার শ্রেণীভুক্ত গ্রাহক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ্য টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যুন ২ (দুই) বৎসর এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

অননুমোদিত উদ্দেশ্যে গ্যাস ব্যবহারের দন্ড
১১।(১) কোন গৃহস্থালী গ্রাহক তাহার গৃহস্থালী সংযোগ হইতে অননুমোদিত বা অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কাজে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস ব্যবহার করিলে, তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদন্ডে বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যূন ৩ (তিন) মাস এবং অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে এবং অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

(২) কোন-

(ক) ক্যাপটিভ পাওয়ার শ্রেণীভুক্ত গ্রাহক তাহার অনুমোদিত সংযোগ হইতে অননুমোদিত বা অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কাজে বা গৃহস্থালী কাজে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাস ব্যবহার করিলে, বা
(খ) সিএনজি শ্রেণীভুক্ত গ্রাহক তাহার অনুমোদিত সংযোগ হইতে অননুমোদিত বা অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কাজে বা গৃহস্থালী কাজে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে বা বিদু্যৎ উৎপাদনে গ্যাস ব্যবহার করিলে, তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ্য টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যূন ৬ (ছয়) মাস এবং অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ড এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
লাইসেন্সীর অনুমতি ব্যতীত গ্যাস লাইন স্থাপন, ইত্যাদির দন্ড
১২। (১) কোন ব্যক্তি কোন লাইসেন্সীর কোন গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক হইতে তাহার লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে অবৈধ পন্থায় গ্যাস আহরণের নিমিত্ত কোন লাইন স্থাপন বা গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করিলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যুন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

(২) কোন গ্রাহক লাইসেন্সীর লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে যে উদ্দেশ্যে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হইয়াছে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে গ্যাস ব্যবহার করিলে বা অনুমোদিত গ্যাস স্থাপনার মাধ্যমে নির্ধারিত মাসিক লোড হইতে বেশী হারে গ্যাস ব্যবহার করিলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

(৩) কোন ব্যক্তি কনডেনসেট পাইপ লাইনে অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বা অন্য কোন ভাবে কনডেনসেট চুরি করিলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যুন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

লাইসেন্স ব্যতিরেকে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন বা যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তর কারখানা স্থাপন, ইত্যাদির দন্ড
১৩। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স ব্যতিরেকে-

(ক) কোন সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন বা যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তর কারখানা স্থাপন করিলে, বা

(খ) অনুমোদিত পদ্ধতি ব্যতীত পেট্রোল বা ডিজেল চালিত কোন গাড়ী সিএনজি গাড়ীতে রূপান্তর, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করিলে, বা
(গ) নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে সিএনজি ব্যবহার করিলে,
উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অনূ্যন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন কর্তৃক নির্ধারিত চাপের অধিক চাপে সিএনজি বিক্রয়ের দন্ড
১৪। কোন সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত চাপের অধিক চাপে অথবা মিটার টেম্পারিং করিয়া সিএনজি বিক্রয় করিলে, রিফুয়েলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী বা সংশিস্নষ্ট দায়ী ব্যক্তি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অনূ্যন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ২(দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে এবং অনধিক ২(দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
নাশকতামূলক কার্যের দন্ড
১৫। কোন ব্যক্তি কনডেনসেট, সিএনজি, এলপিজি শিল্প প্রতিষ্ঠানে বা গ্যাস সিস্টেম পরিচালন ব্যবস্থায় বা গ্যাস শিল্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন ধ্বংসাত্মক বা নাশকতামূলক কার্য সংঘটন করিলে, তিনি অনধিক ৩(তিন) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে অন্যুন ৩(তিন) বৎসর এবং অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে এবং অনধিক ১০ (দশ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দন্ড
১৬। কোন গ্রাহক গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে কর্তব্যরত কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে গ্রাহক আঙ্গীনায় প্রবেশে বাধা প্রদান করিলে বা গ্যাস সংযোগ স্থান বা উহার সরঞ্জামাদি পরিদর্শনে বাধা প্রদান করিলে বা গ্রাহক আঙ্গীনায় তাহাকে আটকাইয়া রাখিলে, তিনি অনধিক ১(এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১(এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যূন ১(এক) বৎসর এবং অনধিক ২(দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে এবং অনধিক ২(দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
পাইপলাইন, মিটার, রেগুলেটর, ইত্যাদি চুরির দন্ড
১৭। কোন ব্যক্তি গ্যাস সঞ্চালন, বিতরণ এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন পাইপলাইন, মিটার, রেগুলেটর বা অন্য কোন সামগ্রী চুরি বা ইচ্ছাকৃতভাবে উহাদের কোন ক্ষতিসাধন করিলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যুন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
চুরিকৃত সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় ও দখলে রাখিবার দন্ড
১৮। কোন ব্যক্তি গ্যাস পাইপলাইন, মিটার, রেগুলেটর বা অন্য কোন সামগ্রী চুরিকৃত জানিয়া বা উহা চুরি করা হইয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকা সত্ত্বেও উহা ক্রয়-বিক্রয় বা উহা দখলে রাখিলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ৩(তিন) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা, ইত্যাদির দন্ড
১৯। কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধ সংঘটনে, প্রত্যক্ষ বা পরো্ক্ষ, সহায়তা করিলে, বা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা বা ষড়যন্ত্র করিলে এবং উক্ত সহায়তা বা ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হইলে, উক্ত সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী বা প্ররোচনাকারী তাহার সহায়তা, ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনা দ্বারা সংঘটিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
এই আইনের অধীন দন্ডিত হইবার কারণে গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারীর পাওনা অর্থ পরিশোধের দায়-দায়িত্ব ব্যাহত বা ক্ষুন্ন না করা
২০। (১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধে দন্ডিত হইবার কারণে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃক দাবীকৃত পাওনা অর্থ পরিশোধের দায়-দায়িত্ব ব্যাহত বা ক্ষুন্ন করিবে না।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পাওনা অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে গ্যাস বিতরণকারী অথবা সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিকার দাবী করিয়া দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের অথবা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No.III of 1913) এর অধীন সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা যাইবে।

বিচার
২১। (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কতৃর্ক বিচার্য হইবে।

(২) এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ফৌজদারী কার্যবিধির Chapter XXII তে বর্ণিত পদ্ধতি, প্রযোজ্য হইবে।

ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
২২। এই আইন এবং উহার অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান সাপেক্ষে, এই আইনে বর্ণিত যে কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল এবং আনুষঙ্গিক সকল বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে।
অর্থদন্ড আরোপের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ ক্ষমতা
২৩। ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন প্রথম শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে অনুমোদিত যে কোন দন্ড আরোপ করিতে পারিবে।
নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বিবাদমান উভয় পক্ষের শুনানী গ্রহণ
২৪। Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) কিংবা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহাই থাকুক না কেন, কোন পক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রার্থনা করা হইলে, সেই পক্ষকে যথাযথ নোটিশ প্রদানপূর্বক শুনানীর সুযোগ প্রদান ব্যতিরেকে মামলায় কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা অথবা নিষেধমূলক আদেশ প্রদান করা যাইবে না।
অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা
২৫। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আপোষযোগ্য হইবে।
সালিশীর মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি
২৬। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, লাইসেন্সীদের মধ্যে অথবা গ্রাহক ও লাইসেন্সীর মধ্যে কোন বিরোধের উদ্ভব হইলে, সালিশ আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১নং আইন) অথবা পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির বিধান অনুযায়ী কমিশন উহা নিষ্পত্তি করিতে পারিবে।

অধ্যায়-৭

বিবিধ

বার্ষিক প্রতিবেদন ও হিসাব
২৭। এই আইনের অধীন ব্যবসায় নিয়োজিত সকল লাইসেন্সী উহার সম্পদ, প্রাপ্ত এবং ব্যয়িত সকল অর্থের হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং প্রতি অর্থ বৎসর শেষ হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী একশত আশি দিনের মধ্যে-

(ক) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. No. 2 of 1973) এর অধীন নিবন্ধিত কোন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম দ্বারা উক্ত হিসাব নিরীক্ষা করাইয়া উহা কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে; এবং

(খ) পূর্ববর্তী অর্থ বৎসরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়নপূর্বক উহা কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৮। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, কমিশনের সহিত আলোচনাক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৯। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
(২) উপরি-উক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয়ে উক্তরূপ বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা-
(ক) এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন, সংশোধন, বাতিল ইত্যাদি;
(খ) গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ;
(গ) গ্যাস সরবরাহের বিল প্রস্তুতকরণ ও আদায়;
(ঘ) এলপিজি গ্যাসের প্লান্ট স্থাপন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি;
(ঙ) এলএনজি আমদানি ও ব্যবহারের লক্ষ্যে টার্মিনাল নির্মাণ, আমদানির শর্তাবলী নির্ধারণ, সরবরাহ ও ব্যবহারের স্ট্যান্ডার্ড কোড নির্ধারণ এবং আনুষঙ্গিক যে কোন বিধান;
(চ) সিএনজি স্টেশন ও যানবাহন রূপান্তর কারখানা স্থাপনের আবেদন, অনুমোদন, ফি ও অন্যান্য চার্জ, স্থাপনা পরিচালনা, পরিবর্তন, মেরামত এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি; এবং
(ছ) পাইপলাইন নির্মাণ ও স্থাপন সংক্রান্ত।

(৩) এই ধারার অধীন প্রণীতব্য সকল প্রবিধানের প্রাক-প্রকাশনার মাধ্যমে উহার উপর আপত্তি বা পরামর্শ আহবান করিয়া প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনাক্রমে কমিশন প্রবিধান প্রণয়ন করিবে।

(৪) এই ধারার অধীন কোন বিষয়ে প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিষয়ে বিদ্যমান অফিস আদেশ, প্রজ্ঞাপন, সার্কুলার ইত্যাদি এই আইনের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে বহাল থাকিবে।

ব্যবসা পুনঃগঠন ও লাইসেন্সীর এলাকা পুনঃনির্ধারণ
৩০। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, প্রয়োজনে, ব্যবসা পুনঃগঠন করিতে পারিবে এবং গ্যাস সঞ্চালন, বিতরণ ও সরবরাহের দায়িত্বে নিয়োজিত লাইসেন্সীর এলাকা পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৩১। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।