যেহেতু প্রাকৃতিক গ্যাস ও উহার সহজাত তরল হাইড্রোকার্বন এর বিক্রয় এবং হিসাব বহির্ভুত গ্যাসের (unaccounted for gas) উপর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ এবং সময়মত গ্যাস বিক্রয়লব্দ রাজস্ব আদায় নিশ্চিতকরণ এবং বেসরকারি খাত ও ব্যক্তিগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :
অধ্যায়-১
প্রারম্ভিক
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
(১) “অধিকারভুক্ত এলাকা” অর্থ গ্যাস বিতরণ ও বিপণনের জন্য লাইসেন্সধারীকে অর্পিত ভৌগোলিক এলাকা;
(২) “এনজিএল” অর্থ গ্যাসের অংশবিশেষ, যাহা ভূ-উপরিতলে পৃথকীকরণ যন্ত্র (সেপারেটরস) দ্বারা, গ্যাস ক্ষেত্রের বলবৎ সুবিধাদি দ্বারা অথবা গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট দ্বারা তরলীকৃত অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়;
(৩) “এলএনজি” অর্থ পরিবহন এবং মজুদকরণের সুবিধার্থে (Cryogenic) পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের তরল অবস্থা;
(৪) “এসএনজি” অর্থ নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে বাতাসের সহিত এলপিজি মিশ্রিত করিয়া প্রস্তুতকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের এক প্রকার বিকল্প;
(৫) “কনডেনসেট” অর্থ প্রাকৃতিক গ্যাসের সহজাত তরল হাইড্রোকার্বন;
(৬) “কমিশন” অর্থ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন;
(৭) “কমিশন আইন” অর্থ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন);
(৮) “করপোরেশন” অর্থ-
(ক) Bangladesh Oil, Gas and Mineral Corporation Ordinance, 1985 (Ordinance No. XXI of 1985) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা); এবং
(খ) Bangladesh Petroleum Corporation Ordinance, 1976(Ordinance No. LXXXVIII of 1976)এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি);
(৯) “কোম্পানী” অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন গঠিত এবং নিবন্ধিত কোন কোম্পানী;
(১০) “গ্যাস” অর্থ প্রাকৃতিক গ্যাস (এনজি), প্রাকৃতিক তরল গ্যাস (এনজিএল),তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি), সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি), কৃত্রিম প্রাকৃতিক গ্যাস (এসএনজি), তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), কোল বেড মিথেন (সিবিএম), ভূ-গর্ভস্থ কয়লা গ্যাসে রূপান্তর (ইউসিজি), অথবা স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসীয় উপাদানে রূপান্তরিত হয় এমন প্রাকৃতিক হাইড্রোকার্বনের মিশ্রণ;
(১১) “গ্যাস অপারেটর” অর্থ কমিশন আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে অথবা পরে গ্যাস সংক্রান্ত ব্যবসায় নিয়োজিত যে কোন সরকারী এজেন্সী অথবা কোম্পানী অথবা বেসরকারী এজেন্সী অথবা কোম্পানী অথবা ব্যক্তি;
(১২) “গ্যাস কার্যক্রম পরিচালন” অর্থ কমিশন আইনের অধীন গ্যাসের সঞ্চালন, মজুদকরণ, বিতরণ, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত যে কোন কর্মকান্ড
তবে বাংলাদেশ এনার্জী রেগুলেটরী কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ১৩ নং আইন) এর বিধানাবলী এই আইনের ক্ষেত্রে, যতটুকু প্রয়োজন, প্রযোজ্য হইবে।
অধ্যায়-২
ব্যবসা পরিচালনা, নির্মাণ ও স্থাপন
অধ্যায়-৩
গ্যাস বিতরণ
(ক) গৃহস্থালী ;
(খ) বাণিজ্যিক ;
(গ) শিল্প ;
(ঘ) মৌসুমী ;
(ঙ) সিএনজি ;
(চ) চা-বাগান ;
(ছ) বিদ্যুৎ;
(জ) সার ; এবং
(ঝ) ক্যাপটিভ পাওয়ার।
(২) এই আইনের উদ্দেশ্যের সাথে সংগতি রাখিয়া সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত গ্রাহক শ্রেণী পুনঃবিন্যাস এবং নূতন গ্রাহক শ্রেণী প্রবর্তন ও পুরাতন গ্রাহক শ্রেণী বিলুপ্ত করিতে পারিবে।
(২) গ্যাস বিতরণকারী লাইসেন্সীর দায়িত্ব হইবে, নিম্নরূপ, যথা :-
(ক) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে গ্যাসের মান, চাপ, পরিবেশ, নিরাপত্তা বজায় রাখা;
(খ) একই শ্রেণীর গ্রাহকদের মধ্যে বৈষম্যহীনতার নীতি অনুসরণ ;
(গ) গ্যাসের পরিমাণ পরিমাপনের জন্য মিটার স্থাপন ;
(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে গ্যাস সরবরাহ সীমিত অথবা স্থগিত করিবার অথবা গ্রাহকদের গ্যাস ব্যবহারের উপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করিবার অথবা গ্যাস লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিবার ক্ষমতা লাইসেন্সীর থাকিবে, যদি-
(ক) সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের জীবন এবং সম্পদ বিপদাপন্ন হয় ;
(খ) গ্যাস নেটওয়ার্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালন ত্রুটি দেখা দেয়;
অধ্যায়-৪
সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি), তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি)
(ক) কমিশনের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ; এবং
(খ) প্রয়োজনে প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী অন্য কোন সংস্থার লাইসেন্স বা অনুমোদন গ্রহণ।
(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সিএনজি, এলপিজি ও এলএনজি সরবরাহ সীমিত, স্থগিত কিংবা সীমাবদ্ধতা আরোপ করিবার ক্ষমতা কমিশনের থাকিবে, যদি-
(ক) সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের জীবন ও সম্পদ বিপদাপন্ন হয়;
(খ) অননুমোদিতভাবে সিএনজি এর ব্যবহার প্রমাণিত হয়।
(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সিএনজি সরবরাহ সীমিত, স্থগিত কিংবা সীমাবদ্ধতা আরোপ করিবার ক্ষমতা গ্যাস বিতরণকারীর থাকিবে, যদি-
(ক) গ্যাস নেটওয়ার্কে পরিচালন বিপত্তি ঘটে;
অধ্যায়-৫
সরবরাহ এবং মজুদকরণ (Supply and storage)
(ক) কোন গ্যাস ফিল্ড হইতে প্রাপ্ত গ্যাস সরবরাহ এবং মজুদকরণ শুরু করিবার পূর্বে, সরবরাহ ও মজুদকরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উক্তরূপ গ্যাস মজুদকরণ ও সরবরাহ, ব্যয় এবং সঞ্চালন কোম্পানী অথবা বিতরণ কোম্পানীর নিকট জিম্মাদারী হস্তান্তর সংক্রান্ত সকল উপাত্ত কমিশনের নিকট দাখিল করিতে হইবে;
(খ) কমিশন উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) সমূহের অধীনে গ্যাস সরবরাহ ও মজুদকরণের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে কমিশন আইন এর বিধানাবলী অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ ও মজুদকরণের মূল্য নির্ধারণ করিবে।
ব্যাখা : এই ধারায় উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) বলিতে গ্যাস ও কনডেনসেট উৎপাদন চুক্তি বা গ্যাস সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সম্পাদিত যে কোন চুক্তিকে বুঝাইবে।
অধ্যায়-৬
অপরাধ ও দণ্ড , ইত্যাদি
(ক) মিটারকে পাশ কাটাইয়া সরবরাহ লাইন ও অভ্যন্তরীণ লাইনের মধ্যে সরাসরি বা প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন করিয়া গ্যাস ব্যবহার করা;
(খ) মিটারে অবৈধ হস্তক্ষেপ করিয়া উহার ইনডেক্স, সীল, রোটর বা ফ্যান ভাঙ্গিয়া, অথবা উহার ডায়াফ্রাম বা ইনডেক্স ছিদ্র করিয়া, অথবা বিপরীতমুখী মিটার স্থাপন করিয়া, অথবা মিটারের যান্ত্রিক ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করিয়া গ্যাসের প্রকৃত ব্যবহার হইতে কম প্রদর্শন করা;
(গ) সরবরাহ লাইন হইতে অবৈধ সংযোগ স্থাপন করিয়া গ্যাস ব্যবহার করা;
(ঘ) গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত কোন শর্ত ভঙ্গের কারণে গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্নকরণের পর অননুমোদিত বা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা;
(ঙ) গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্থাপনকৃত রেগুলেটর অননুমোদিতভাবে বা অবৈধভাবে পুনঃস্থাপন (re-set) করিয়া নির্ধারিত চাপের অধিক চাপে গ্যাস ব্যবহার করা;
(চ) অনুমোদিত সংখ্যার অতিরিক্ত, বা অতিরিক্ত ক্ষমতাসম্পন্ন, গ্যাস সরঞ্জাম স্থাপনপূর্বক গ্যাস ব্যবহার করা;
(ছ) গ্যাস বিতরণকারী বা সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষের পরিত্যক্ত রাইজার হইতে অননুমোদিত বা অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করিয়া গ্যাস ব্যবহার করা; এবং
(জ) দফা (ক) হইতে (ছ) এ বর্ণিত পন্থা ব্যতীত অন্য কোন পন্থায় অননুমোদিত বা অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা।
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোন অপরাধের দায়ে-
(ক) কোন গৃহস্থালী গ্রাহক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদন্ডে বা
অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে উক্ত ব্যক্তি অন্যূন ৩ (তিন) মাস এবং অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে এবং অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন;
(খ) কোন বাণিজ্যিক গ্রাহক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে বা
(ঘ) কোন বিদ্যুৎ ও সার শ্রেণীভুক্ত গ্রাহক দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ্য টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যুন ২ (দুই) বৎসর এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
(২) কোন-
(২) কোন গ্রাহক লাইসেন্সীর লিখিত সম্মতি ব্যতিরেকে যে উদ্দেশ্যে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হইয়াছে সে উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে গ্যাস ব্যবহার করিলে বা অনুমোদিত গ্যাস স্থাপনার মাধ্যমে নির্ধারিত মাসিক লোড হইতে বেশী হারে গ্যাস ব্যবহার করিলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যূন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ২ (দুই) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
(৩) কোন ব্যক্তি কনডেনসেট পাইপ লাইনে অবৈধ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বা অন্য কোন ভাবে কনডেনসেট চুরি করিলে, তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তিনি অন্যুন ১ (এক) বৎসর এবং অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
(ক) কোন সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন বা যানবাহন সিএনজিতে রূপান্তর কারখানা স্থাপন করিলে, বা
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পাওনা অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে গ্যাস বিতরণকারী অথবা সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিকার দাবী করিয়া দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের অথবা Public Demands Recovery Act, 1913 (Act No.III of 1913) এর অধীন সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা যাইবে।
(২) এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ফৌজদারী কার্যবিধির Chapter XXII তে বর্ণিত পদ্ধতি, প্রযোজ্য হইবে।
অধ্যায়-৭
বিবিধ
(ক) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. No. 2 of 1973) এর অধীন নিবন্ধিত কোন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম দ্বারা উক্ত হিসাব নিরীক্ষা করাইয়া উহা কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে; এবং
(ক) এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন, সংশোধন, বাতিল ইত্যাদি;
(খ) গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ;
(গ) গ্যাস সরবরাহের বিল প্রস্তুতকরণ ও আদায়;
(ঘ) এলপিজি গ্যাসের প্লান্ট স্থাপন, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি;
(ঙ) এলএনজি আমদানি ও ব্যবহারের লক্ষ্যে টার্মিনাল নির্মাণ, আমদানির শর্তাবলী নির্ধারণ, সরবরাহ ও ব্যবহারের স্ট্যান্ডার্ড কোড নির্ধারণ এবং আনুষঙ্গিক যে কোন বিধান;
(চ) সিএনজি স্টেশন ও যানবাহন রূপান্তর কারখানা স্থাপনের আবেদন, অনুমোদন, ফি ও অন্যান্য চার্জ, স্থাপনা পরিচালনা, পরিবর্তন, মেরামত এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি; এবং
(ছ) পাইপলাইন নির্মাণ ও স্থাপন সংক্রান্ত।
(৩) এই ধারার অধীন প্রণীতব্য সকল প্রবিধানের প্রাক-প্রকাশনার মাধ্যমে উহার উপর আপত্তি বা পরামর্শ আহবান করিয়া প্রাপ্ত আপত্তি বা পরামর্শ বিবেচনাক্রমে কমিশন প্রবিধান প্রণয়ন করিবে।
(৪) এই ধারার অধীন কোন বিষয়ে প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিষয়ে বিদ্যমান অফিস আদেশ, প্রজ্ঞাপন, সার্কুলার ইত্যাদি এই আইনের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে বহাল থাকিবে।
(২) বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।