বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৯

( ২০১৯ সনের ১৭ নং আইন )

[ ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ]

বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৬ রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু সুগারক্রপের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উহার উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণসহ আনুষঙ্গিক উদ্দেশ্যে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক; এবং

যেহেতু বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১১ নং আইন) রহিতক্রমে উহার বিধানাবলি বিবেচনাক্রমে সময়ের চাহিদার প্রতিফলনে নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১।  (১) এই আইন বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৯ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২।  বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে –

(ক)  ‘‘ইনস্টিটিউট’’ অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট;

(খ)  ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল;

(গ)  ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

(ঘ)  ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(ঙ)  ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(চ)  ‘‘বোর্ড’’ অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত বোর্ড;

(ছ)  ‘‘মহাপরিচালক’’ অর্থ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক; এবং

(জ) ‘‘সুগারক্রপ’’ অর্থ ইক্ষু, সুগারবিট, তাল, খেজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় ফসল বা বৃক্ষ।

ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা

৩।  (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হইবে।

(২) ইনস্টিটিউট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং ইনস্টিটিউট উহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে, এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

ইনস্টিটিউটের কার্যালয় ও কেন্দ্র

৪।  (১) ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে থাকিবে।

(২) ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে।

ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি

৫।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-

(১)    জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনসমূহের সহযোগিতায় চিনি, গুড় ও সিরাপ উৎপাদন উপযোগী শর্করা সমৃদ্ধ ফসল বা বৃক্ষের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উহাদের উন্নত ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর গবেষণা কর্মসূচি গ্রহণ করা;

(২)    চিনি, গুড়, সিরাপ ও মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রযুক্তি ও কলাকৌশল উদ্ভাবন করা;

(৩)    চিনি, গুড় ও সিরাপ উৎপাদন উপযোগী শর্করা সমৃদ্ধ ফসল বা বৃক্ষের ব্যবহারের কলাকৌশল সম্পর্কে গবেষণার ব্যবস্থা করা এবং উহাদের উপজাতসমূহের উপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা;

(৪)    সুগারক্রপভিত্তিক গবেষণা, খামার স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার উপর গবেষণা করা এবং উহাদের অর্থনৈতিক সুবিধা চিহ্নিত করা;

(৫)    বিভিন্ন ধরনের সুগারক্রপের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করিয়া জার্মপ্লাজম ব্যাংক গড়িয়া তোলা, এবং সুগারক্রপের জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ, মূল্যায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা;

(৬)    সুগারক্রপ গবেষণায় জীব প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ ও ক্ষতিকর পোকা-মাকড় প্রতিরোধ করা, এবং খরা, লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঠাণ্ডা ও তাপসহ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু সুগারক্রপের জাত ও উৎপাদন বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা;

(৭)    সুগারক্রপ ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে গবেষণাগার ও লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা;

(৮)    ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত সুগারক্রপের নূতন জাত ও প্রযুক্তিসমূহের প্রদর্শনীর আয়োজন করা, এবং উক্ত জাত ও প্রযুক্তিসমূহের বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্দেশ্যে এলাকা নির্ধারণ ও স্কিম গ্রহণ করা;

(৯)    মিষ্টি জাতীয় ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তির উপর সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, কৃষক এবং দেশি-বিদেশি গবেষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা;

(১০)  বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা মিষ্টি জাতীয় ফসলের চিহ্নিত সমস্যাবলি সম্পর্কে মত বিনিময় করা, এবং মিষ্টি জাতীয় ফসলের সাম্প্রতিক উদ্ভাবনের সহিত সংশ্লিষ্ট সকলকে পরিচিত হইবার সুযোগ সৃষ্টি করিবার জন্য সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা;

(১১)   জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলায় সুগারক্রপ গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা;

(১২)  ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তির ও উদ্ভিদ জাতের মেধাস্বত্ব নিশ্চিত করা;

(১৩)  সুগারক্রপের সহিত আন্তঃফসল হিসাবে উপযোগী যে কোনো ফসলের চাষাবাদ সম্পর্কিত গবেষণা  কার্যক্রম পরিচালনা করা;

(১৪)   ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত মিষ্টি জাতীয় ফসলের বিভিন্ন জাতের দ্রুত বিস্তারের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্রিডারবীজ উৎপাদন ও সরবরাহ করা;

(১৫)  সুগারক্রপ বিষয়ে স্নাতকোত্তর, পিএইচ.ডি. এবং পোস্ট পিএইচ.ডি. পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা;

(১৬)  সুগারক্রপের উন্নয়নের ক্ষেত্রে গবেষণায় নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে সহযোগিতা করা;

(১৭)   সুগারক্রপ গবেষণা ও শিক্ষা সম্প্রসারণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ করা;

(১৮)  সুগারক্রপ গবেষণা সংক্রান্ত মনোগ্রাফ, বুলেটিন ও শস্য পঞ্জিকাসহ ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ ফলাফল ও সুপারিশের ভিত্তিতে সাময়িকী, প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করা;

(১৯)  মিষ্টি জাতীয় ফসলের নীতি নির্ধারণে সরকারকে সাহায্য করা, এবং মিষ্টি জাতীয় ফসল সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ প্রদান করা;

(২০)  সরকার কর্তৃক, সময়ে সময়ে, প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী উহার উপর অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা; এবং

(২১)  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় অন্য যে কোনো কার্য সম্পাদন করা।

ইনস্টিটিউটের পরিচালনা

৬।  ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ইনস্টিটিউট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে উক্ত বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে।

কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন

৭।  (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ইনস্টিটিউট কাউন্সিল কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করিবে :

তবে শর্ত থাকে যে, ইনস্টিটিউটের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপ কোনো নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ প্রতিপালন করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে ইনস্টিটিউট অনতিবিলম্বে, কারণ উল্লেখপূর্বক, উহার মতামত কাউন্সিলকে অবহিত করিবে।

(২) উপ-ধারা (১) এর শর্তাংশের অধীন ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে প্রাপ্ত মতামত বিবেচনা করিয়া কাউন্সিল তৎকর্তৃক প্রদত্ত কোনো নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ সংশোধন বা বাতিল করিতে পারিবে অথবা উক্ত বিষয়ে নূতন কোনো নির্দেশনা, সুপারিশ বা পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে।

বোর্ড গঠন

৮।  (১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে ইনস্টিটিউটের বোর্ড গঠিত হইবে, যথা :¾

(ক)       মহাপরিচালক, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

(খ)       অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;

(গ)       কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;

(ঘ)       শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;

(ঙ)       কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত উহার অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;

(চ)       কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অন্যূন পরিচালক পদমর্যাদার একজন কর্মচারী;

(ছ)   শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অন্যূন পরিচালক অথবা সমপদমর্যাদার একজন কর্মচারী;

(জ)       বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এর অন্যূন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদমর্যাদার একজন  বিজ্ঞানী;

(ঝ)       ইনস্টিটিউটের পরিচালকগণ, পদাধিকারবলে;

(ঞ)      কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটে কর্মরত ২(দুই) জন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী;

(ট)       কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউট বহির্ভূত একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানী;

(ঠ)       ইনস্টিটিউট কর্তৃক মনোনীত সুগারক্রপ চাষাবাদ সংশ্লিষ্ট কার্যে নিয়োজিত একজন কৃষক ও একজন কৃষাণী;

(ড)       ইনস্টিটিউটের প্রশাসন বিভাগের প্রধান, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর দফা (ট) ও (ঠ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে সদস্য পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোনো সময়, কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে অথবা মনোনীত কোনো সদস্যও মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।

বোর্ডের কার্যাবলি

৯।  বোর্ডের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথা :-

(ক)       গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ;

(খ)       ইনস্টিটিউটের কার্যাবলির তত্ত্বাবধান এবং দিক্‌নির্দেশনা প্রদান;

(গ)       ইনস্টিটিউটের নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান;

(ঘ)       ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত নীতিমালা এবং কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন;

(ঙ)       সরকারের নিকট হইতে অথবা সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে অন্য কোনো উৎস হইতে অনুদান গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন;

(চ)       ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন;

(ছ)       সরকারের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন;

(জ)       ফেলোশিপ প্রদানের প্রস্তাব অনুমোদন;

(ঝ)       বিদেশে উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন; এবং

(ঞ)      প্রকল্প অনুমোদন।

বোর্ডের সভা

১০। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(২) বোর্ড প্রতি বৎসর অন্যূন ৩ (তিন) বার উহার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

(৩) বোর্ডের সদস্য-সচিব, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, লিখিত নোটিশ দ্বারা বোর্ডের সভা আহবান করিবেন।

(৪) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে বোর্ডের উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক, তাহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন।

(৫) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন অর্ধেক সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

(৬) বোর্ডের সভায় উপস্থিত প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে প্রদত্ত ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভার সভাপতি নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিতে পারিবেন।

(৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

মহাপরিচালক

১১।  (১) ইনস্টিটিউটের একজন মহাপরিচালক থাকিবে।

(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।

(৩) মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী হইবেন, এবং তিনি ¾

(ক)       বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন;

(খ)       বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন; এবং

(গ)       সরকার কর্তৃক, সময় সময়, তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করিবেন।

(৪) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা তিনি পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।

পরিচালক

১২।  ইনস্টিটিউটের কার্যাবলি দক্ষতার সহিত সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরিচালক থাকিবে, এবং তাহারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।

কর্মচারী নিয়োগ

১৩।  (১) ইনস্টিটিউট, উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

(২) কর্মচারীদের নিয়োগ এবং চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

তহবিল

১৪।  ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে, যাহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে অর্থ জমা হইবে, যথা :¾

(ক)        সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মঞ্জুরি ও অনুদান;

(খ)         সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে গৃহীত ঋণ;

(গ)         কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(ঘ)         সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কোনো দেশি বা বিদেশি সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;

(ঙ)         ইনস্টিটিউটের নিজস্ব উৎস হইতে প্রাপ্ত আয়; এবং

(চ)         অন্য কোনো বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।

(২) তহবিলের অর্থ কোনো তপশিলি ব্যাংকে ইনস্টিটিউটের নামে জমা রাখিতে হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা ও ইনস্টিটিউটের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা যাইবে।

ব্যাখ্যা। ¾ এই ধারায় উল্লিখিত ‘‘তপশিলি ব্যাংক’’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (Persident’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2(j) তে সংজ্ঞায়িত Scheduled Bank-কে বুঝাইবে।

বাজেট

১৫।  ইনস্টিটিউট প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, উহার সম্ভাব্য আয়-ব্যয়সহ পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বাৎসরিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত বৎসরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে তাহাও উল্লেখ থাকিবে।

হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৬।  (১) ইনস্টিটিউট, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।

(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক প্রতি বৎসর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোনো সদস্য বা ইনস্টিটিউটের যে কোনো কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষা ছাড়াও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (Presidernt’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1) (b)-তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউট এক বা একাধিক Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে।

(৫) ইনস্টিটিউট, যথাশীঘ্র সম্ভব, নিরীক্ষা প্রতিবেদনে চিহ্নিত ত্রুটি বা অনিয়ম, যদি থাকে, প্রতিকার করিবার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে।

প্রতিবেদন

১৭।  (১) প্রতি অর্থ-বৎসর শেষ হইবার পরবর্তী ৪ (চার) মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউট উক্ত অর্থ-বৎসরের সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে।

(২) সরকার, প্রয়োজনে, ইনস্টিটিউটের নিকট হইতে, যে কোনো সময়, ইনস্টিটিউটের যে কোনো বিষয়ের উপর প্রতিবেদন ও বিবরণী যাচনা করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।

কমিটি

১৮।  ইনস্টিটিউট, উহার দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদানের জন্য, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।

ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা

১৯। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত ঋণ পরিশোধ করিতে বাধ্য থাকিবে।

চুক্তি সম্পাদন

২০।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।

বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা

২১।  (১) ইনস্টিটিউট, বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে, উহার বিজ্ঞানীদের জন্য, প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণক্রমে, প্রয়োজনীয় বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করিতে পারিবে।

(২) কোনো বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশিক্ষণ বা গবেষণার জন্য মনোনীত হইলে এবং উক্ত ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হইলে ইনস্টিটিউট,  সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার সমুদয় বা অংশবিশেষ প্রদান করিতে পারিবে।

উপদেষ্টা, পরামর্শক, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ

২২। ইনস্টিটিউট, নিজস্ব জনবল দ্বারা সক্ষম না হইলে, সুগারক্রপ সম্পর্কিত উদ্ভূত কোনো সমস্যা নিরসন বা উহার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কোনো প্রযুক্তি বা কৌশল উদ্ভাবনের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপদেষ্টা, পরামর্শক, গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ করিতে পারিবে।

ফেলোশিপ প্রদান

২৩।  ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ও তৎকর্তৃক স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হইতে, কৃষিবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য ও কৃতিত্বের সহিত ডিগ্রি অর্জনকারী ব্যক্তিদের, ইনস্টিটিউটের উদ্দেশ্যের সহিত সম্পর্কিত বিষয়ে, দক্ষ বিজ্ঞানী, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদ হিসাবে গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে ফেলোশিপ প্রদান করিতে পারিবে।

ক্ষমতা অর্পণ

২৪।  বোর্ড, প্রয়োজনে, উহার কোনো ক্ষমতা, লিখিত আদেশ দ্বারা ও নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, উহার কোনো সদস্য, কর্মচারী বা কোনো কমিটিকে অর্পণ করিতে পারিবে।

জনসেবক

২৫।  বোর্ডের সকল সদস্য, ইনস্টিটিউটের সকল কর্মচারী, উপদেষ্টা, পরামর্শক, গবেষক ও প্রযুক্তিবিদ এবং ইনস্টিটিউটের পক্ষে কোনো কাজ করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোনো ব্যক্তি Penal Code (Act No. XLV of 1860) এর section 21 এ সংজ্ঞায়িত অর্থে জনসেবক (public servant)  বলিয়া গণ্য হইবেন।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

২৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

২৭।  ইনস্টিটিউট, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে, এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

২৮।  (১) বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৬ (১৯৯৬ সনের ১১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

(২) উক্ত আইন রহিত হওয়া সত্ত্বেও, উহার অধীন ¾

(ক)     কৃত কোনো কাজ বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা, প্রদত্ত কোনো নোটিশ, প্রস্তুতকৃত বাজেট, স্কিম বা প্রকল্প এই আইনের অধীন কৃত, গৃহীত, প্রদত্ত বা প্রস্তুতকৃত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে; এবং

(খ)     প্রণীত কোনো বিধি বা প্রবিধান, জারিকৃত কোনো আদেশ, বিজ্ঞপ্তি বা প্রজ্ঞাপন, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত বা, ক্ষেত্রমত, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় এমনভাবে চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রণীত বা জারি হইয়াছে।

(৩) উক্ত আইন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উহার অধীন স্থাপিত বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্ত হইবে, এবং বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের-

(ক)     সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সকল দাবি ও অধিকার এবং সকল হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড ও অন্যান্য দলিলাদি, যথাক্রমে, ইনস্টিটিউটের সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, সম্পত্তি, তহবিল, অর্থ, দাবি, অধিকার, হিসাব বহি, রেজিস্টার, রেকর্ড এবং দলিল হিসাবে গণ্য হইবে;

(খ)     সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে, ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;

(গ)     বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;

(ঘ)     ব্যবস্থাপনা বোর্ড ও কমিটির, যদি থাকে, কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত করা না হইলে, ইনস্টিটিউটের বোর্ড ও কমিটি হিসাবে এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন গঠিত হইয়াছে;

(ঙ)     মহাপরিচালক ও পরিচালকগণকে বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে অব্যাহতি প্রদান করা না হইলে, তাহারা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও পরিচালক হিসাবে স্ব-স্ব পদে এমনভাবে বহাল থাকিবেন যেন এই আইনের অধীন নিযুক্ত হইয়াছেন;

(চ)     প্রধান কার্যালয় বা শাখা কার্যালয়সমূহের কার্যক্রম, যে নামে ও স্থানেই স্থাপিত বা প্রতিষ্ঠিত হউক না কেন, বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, সংশ্লিষ্ট স্থানেই ইনস্টিটিউটের নামে ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় বা শাখা কার্যালয় হিসাবে এমনভাবে বহাল, কার্যকর ও অব্যাহত থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীন স্থাপিত বা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে; এবং

(ছ)     সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইনস্টিটিউটের কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন এবং এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন, তাহা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে ইনস্টিটিউটের চাকরিতে নিযুক্ত থাকিবেন।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২৯।  (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।